হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামী জীবনাচারে দান বা সাদকার রয়েছে গভীর তাৎপর্য। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে সাদকা শুধু মানবসেবাই নয়, বরং আত্মিক পরিশুদ্ধির পথও উন্মুক্ত করে দেয়। ঠিক এই বিষয়টিতেই আলোকপাত করেছেন হযরত আয়াতুল্লাহ কাশ্মীরি (রহ.), যিনি সাদকার উদ্দেশ্য ও নিয়ত সম্পর্কে এক ব্যতিক্রমী উপদেশ প্রদান করেছিলেন।
তিনি বলতেন, যখন তুমি সাদকা দেবে, তখন সেটিকে তিন ভাগে নিয়ত করো।
১- প্রথম এক-তৃতীয়াংশ নিয়ত করো হযরত ইমাম মাহদি (আ.জ.)-এর সুস্থতা ও নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে।
২- দ্বিতীয় এক-তৃতীয়াংশ দাও সমস্ত শহিদদের উদ্দেশ্যে উপহারস্বরূপ—হযরত আদম (আ.)-এর সন্তান হাবিল থেকে শুরু করে প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত।
৩- শেষ এক-তৃতীয়াংশ নিয়ত করো নিজের ও পরিবারের সুস্থতা, নিরাপত্তা ও বিপদ-মুক্তির জন্য।
তিনি আরও বলেন, সাদকার পরিমাণ যতই হোক না কেন—এক হাজার, দশ হাজার, এক মিলিয়ন তুমান কিংবা তার কম-বেশি—এই তিন অংশের নিয়তে দান করলে সাদকা হবে পূর্ণাঙ্গ ও বরকতময়।
এই শিক্ষাটি শুধু দানের পরিমাণ নয়, বরং তার নিয়ত ও উদ্দেশ্যের বিশুদ্ধতার ওপর জোর দেয়। হযরত আয়াতুল্লাহ কাশ্মীরি (রহ.)-এর এই নির্দেশনা আজও দানকারীদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা—যেখানে সাদকার প্রতিটি অংশেই নিহিত রয়েছে মানবতা, ইমান ও আত্মিক কল্যাণের বার্তা।
রিপোর্ট: হাসান রেজা
আপনার কমেন্ট